Breaking News:

শাপলা প্রতীকে কেন আগ্রহী এনসিপি?

শাপলা প্রতীকে

নিবন্ধনের জন্য নির্বাচন কমিশনে আবেদন করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। সঙ্গে তারা চেয়েছে প্রতীক হিসেবে বাংলাদেশের জাতীয় ফুল শাপলা। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু হয়েছে নানা আলোচনা-সমালোচনা।

রোববার থেকেই এনসিপির নেতাকর্মীরা শাপলা প্রতীকের পক্ষে প্রচারণা শুরু করেন। যদিও তারা কলমমোবাইল ফোন প্রতীককেও বিকল্প হিসেবে রেখেছেন, তবে দলটির মূল আগ্রহ শাপলাকেই ঘিরে।

এদিকে অনেকেই বলছেন, শাপলা বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জাতীয় প্রতীক—তাই এটি কোনো রাজনৈতিক দলের প্রতীক হওয়া উচিত নয়। তবে এনসিপির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, তারা জাতীয় প্রতীক নয়, বরং জাতীয় ফুল শাপলাকেই দলীয় প্রতীক হিসেবে চেয়েছেন।

এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বিবিসি বাংলাকে বলেন,

“বাংলাদেশের নদী, প্রকৃতি ও জলাশয়ের সঙ্গে শাপলার গভীর সম্পর্ক রয়েছে। আমরা চাই রাজনীতিতেও এই প্রতিফলন থাকুক। সে কারণেই শাপলাকে আমাদের দলীয় প্রতীক হিসেবে চাই।”

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে এনসিপিসহ নতুন করে প্রায় দেড়শ রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের জন্য নির্বাচন কমিশনে আবেদন করেছে।

তবে এনসিপির আগে নাগরিক ঐক্যও তাদের পুরনো প্রতীক কেটলি বদলে শাপলা প্রতীক চেয়ে আবেদন করে। যদিও তাদের আবেদন এখনো নির্বাচন কমিশন অনুমোদন দেয়নি।

নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ বিবিসি বাংলাকে জানান,

“নতুন প্রতীকের তালিকা তৈরি হচ্ছে। সেখানে শাপলা যুক্ত হবে কি না, সে সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি। তবে কেউ না কেউ পেলে পেতেও পারে।”

নির্বাচন কমিশনের একটি সূত্র জানায়, রাজনৈতিক দলের জন্য নতুনভাবে ১১৫টি প্রতীক নিয়ে খসড়া তালিকা তৈরি করা হয়েছে। সেই তালিকায় শাপলা প্রতীকের নামও রয়েছে।

সুতরাং, এনসিপির শাপলা প্রতীকের প্রতি আগ্রহ একদিকে যেমন নদী-জলাশয়ের সাথে জাতিসত্তার যোগাযোগ ফুটিয়ে তোলে, অন্যদিকে তা সামাজিক মাধ্যমে রাজনৈতিক প্রতীকের যথার্থতা নিয়েও নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।

Do not copy our site contents, content copied is totally illegal from our website.
Alert! This website content is protected!