দলবল নিয়ে এইচএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ: নাটোর ও নোয়াখালীতে দুই ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা
নাটোর ও নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ চলমান এইচএসসি পরীক্ষার প্রথম দিন বিভিন্ন কেন্দ্রে অনধিকারভাবে প্রবেশের অভিযোগ উঠেছে ছাত্রদলের দুই নেতার বিরুদ্ধে। নাটোরের বড়াইগ্রাম ও নোয়াখালীর সেনবাগে ঘটে যাওয়া এসব ঘটনায় সংগঠন ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এতে স্থানীয়ভাবে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
নাটোরে কেন্দ্রের ভেতরে ছাত্রদল নেতার প্রবেশ নাটোরের বড়াইগ্রামে বৃহস্পতিবার বনপাড়া ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে প্রবেশ করেন পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রাকিব সরদার। পরীক্ষা শুরুর আগে তাকে কেন্দ্রের ভেতরে দেখা যায় এবং সেই মুহূর্তের একাধিক ছবি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়।
রাকিব সরদার গণমাধ্যমকে বলেন, “আমি আমার চাচাতো বোনকে কেন্দ্রে পৌঁছে দিতে গিয়ে সিট দেখানোর সময় কেউ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ছবি তুলে ছড়িয়েছে।” তবে কেন্দ্রসচিব মিজানুর রহমান জানান, পরীক্ষার্থীরা ওএমআর শিট পূরণ করছিল, এমন সময় ওই নেতা কেন্দ্রে প্রবেশ করেন, যা বিধিবহির্ভূত। পরে তাকে কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লায়লা জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, “১৪৪ ধারা লঙ্ঘনের বিষয়টি আমলে নিয়ে থানার ওসিকে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।” বড়াইগ্রাম থানার ওসি গোলাম সারওয়ার হোসেন জানান, বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
নোয়াখালীতে বহিষ্কৃত উপজেলা ছাত্রদল নেতা অন্যদিকে, নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার একটি কেন্দ্রেও একই ধরনের অভিযোগ উঠেছে। ছাত্রদলের স্থানীয় আহ্বায়ক মোহাম্মদ সানাউল্লাহ দলবল নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করেন বলে অভিযোগ ওঠে। ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়।
পরদিন শুক্রবার ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অমান্য করে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশের দায়ে সানাউল্লাহকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছেন কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির।
ঘটনার পর সানাউল্লাহ সাংবাদিকদের জানান, “পরীক্ষা শুরুর আগেই শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম। পরীক্ষা শুরু না হওয়ায় কোনো ক্ষতি হয়নি। কেন্দ্রসচিবের অনুরোধে সঙ্গে সঙ্গেই বের হয়ে এসেছি।”
এ ধরনের ঘটনায় শিক্ষাপরিবেশ ও নীতিমালার প্রতি অশ্রদ্ধার দৃষ্টান্ত তৈরি হয় বলে অভিমত দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।