শাহরাস্তির আলমগীর হত্যা: প্রধান আসামি তাজুল ইসলাম তপন ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার
চাঁদপুর, ২৫ জুন ২০২৫ — চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার “মাইক-ম্যান” পরিচিত আলমগীর হোসেন হত্যার মামলায় চার মাস পর প্রধান আসামি তাজুল ইসলাম তপন (৪৩) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঢাকা মহানগর পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার রাতে উত্তর খানের একটি ভ্যান চালিয়ে জুতা বিক্রির ছদ্মবেশে থাকা অবস্থায় তাকে আটক করা হয় ।
পুলিশ সুপার মোঃ আব্দুল বাসার ও শাহরাস্তি থানার ওসি উভয়েই গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন । পরে রাতেই তাকে শাহরাস্তি থানা পুলিশ হেফাজতে এনে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়েছে ।
🔍 ঘটনার পটভূমি
গত ১৭ মার্চ, শাহরাস্তির মনিপুর গ্রামে এক প্রবাসীর বাড়ির ছাদে ডেকে নিয়ে আলমগীর হোসেনের গলা কেটে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। নিহত আলমগীর এক পরিচিত “মাইক-ম্যান” ছিলেন—যিনি এলাকার খবর প্রচার করতেন ।
অপর এজেন্টদের অভিযোগ
পরকীয়ার টানাপোড়েন ও টাকার লেনদেন নিয়ে তপন এবং আয়েশা আক্তার সোনিয়া–এর মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিল। রিমান্ডে দেয়া দোষ স্বীকারোক্তিতে সে জানিয়েছে, *“আলমগীর ও সোনিয়ার সম্পর্ক ছিল; তা মেনে নিতে না পারায় মামাশ্বশুর তপনের সহযোগিতায় পরিকল্পনা করে হত্যা করা হয়”* ।
👮♂️ পুলিশি পদক্ষেপ ও সমাজের প্রতিক্রিয়া
স্থানীয় পুলিশের ব্লুটুথ ও সিসিটিভি সূত্রে এবং ভ্যান জুতা ব্যবসার ছদ্মবেশ অনুসন্ধান করে তপনকে শনাক্ত করা হয়। গ্রেফতারের পর থানা পুলিশ তার ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছে এবং তা আদালতে গ্রহণের লক্ষ্যে প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে ।
গ্রেপ্তারের খবরে নিহতের পরিবার এবং এলাকাবাসীর মধ্যে স্বস্তির অনুভূতি ফিরে এসেছে, তবে তারা দাবি করেছেন—
> *“তপনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত তাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে”* ।
⏭️ পরবর্তী ধাপ
রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ: পুলিশের তপন ও অন্যান্য জড়িতদের তথ্য প্রমাণ সংগ্রহের পরিকল্পনা রয়েছে।
অন্য অভিযুক্তদের শনাক্ত: সোনিয়া সহ অন্যান্যদের সম্পর্কে রিমান্ডে পাওয়া জবানবন্দি বিশ্লেষণ হবে।
আইনি ব্যবস্থা: তদন্ত শেষে আদালতে চার্জশিট জমা, সাক্ষ্য প্রদানের মাধ্যমে বিচার প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে।