Breaking News:

হাসিনার মামলায় যে ৫ অভিযোগ

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার বহুল প্রত্যাশিত রায় আজ সোমবার ঘোষণা হচ্ছে। এই প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের ইতিহাসে গণহত্যার দায়ে সরকারের সর্বোচ্চ পদধারী ব্যক্তির বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে কোনো মামলার রায় ঘোষিত হতে যাচ্ছে। রায় শোনার অপেক্ষায় রয়েছে বাংলাদেশসহ বিশ্ববাসী।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১–এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে ট্রাইব্যুনাল আজ সকাল ১১টায় বসবে। ট্রাইব্যুনালের অন্যান্য সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

বিজ্ঞাপন

মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৪ সালের জুলাই–আগস্টে চলমান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় শেখ হাসিনা সরাসরি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনগুলোকে আন্দোলনকারীদের ওপর ব্যাপক দমন–পীড়ন চালানোর নির্দেশ দেন। এসব হামলায় দেড় হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত এবং ২৫ হাজারের বেশি আহত হন, যাদের অনেকেই অঙ্গহানিসহ স্থায়ী পঙ্গুত্বে ভোগছেন।

মামলায় পাঁচটি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ গঠন করা হয়েছে—
উর্ধ্বতন নেতৃত্বের দায়, ষড়যন্ত্র, উসকানি, পরিকল্পনা ও গণহত্যায় সম্পৃক্ততা।

প্রথম অভিযোগে বলা হয়, ১৪ জুলাই এক সংবাদ সম্মেলনে শেখ হাসিনার উসকানিমূলক বক্তৃতার পরপরই তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের ব্যক্তিদের সহায়তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সশস্ত্র আওয়ামী ক্যাডাররা নিরস্ত্র ছাত্র–জনতার ওপর হামলা চালায়।

দ্বিতীয় অভিযোগে আনা হয় হেলিকপ্টার, ড্রোন ও প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করে আন্দোলনকারীদের নির্মূলের নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগ।

তৃতীয় অভিযোগটি রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মেধাবী আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে গঠন করা হয়।

চতুর্থ অভিযোগে বলা হয়, ৫ আগস্ট রাজধানীর চাঁনখারপুলে ছয় আন্দোলনকারীকে গুলি করে হত্যার নির্দেশ ও সম্পৃক্ততা রয়েছে আসামিদের।

পঞ্চম অভিযোগে রয়েছে ৫ আগস্ট ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচির সময় আশুলিয়ায় ছাত্রদের হত্যা করে লাশ পুড়িয়ে ফেলার ঘটনা—যার মধ্যে একজন জীবিত অবস্থায় পুড়িয়ে মারা হয় বলে তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

এ সবকিছুতেই নির্দেশ, প্ররোচনা, উসকানি, পরিকল্পনা ও সম্পৃক্ততার অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ তিন আসামিকে মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত করা হয়।

আজকের এই রায়কে ঘিরে সারাদেশে উত্তেজনা, উৎকণ্ঠা ও প্রত্যাশা—কী সিদ্ধান্ত আসে, সেদিকে তাকিয়ে আছে পুরো দেশ।

Do not copy our site contents, content copied is totally illegal from our website.
Alert! This website content is protected!